Basic Terms
online
We have one guest and no members online
About us
Hardware Terms - Technology Basic
Overclocking
- Details
- Written by মিনহাজুল হক শাওন
- Hits: 459
ওভারক্লকিং খুবই মজার ও বিশেষ একটি টুইক। কম্পিউটারের যেকোন ডিভাইস মূলত যেগুলো ক্লক রেট বা ফ্রিকোয়েন্সীর সাথে সম্পর্কিত সেগুলোর গতি বৃদ্ধি করার কৌশলকে ওভারক্লক বলে।
সাধারণভাবে ওভারক্লক বলতে প্রসেসরকে ওভারক্লক করাই বোঝায়। আমরা জানি যে কম্পিউটারের বায়োস নির্দিষ্ট ক্লক সিগনাল উৎপন্ন করে এবং সেটা লজিক গেইট এবং মেমরির সাথে মিলে বহুগুণিত হয়ে কাজ সম্পাদন করে। এখানে যদি সেই সিগনালকে বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে প্রসেসরটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী কাজ করতে সক্ষম হবে।
তবে ব্যপারটা আদৌতে অত সোজা নয়। প্রতিটা প্রসেসর মেমরির সাথে যুক্ত এবং মেমরি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফ্রিকোয়েন্সী সাপোর্ট করে। আবার মেমরির সাথে সিস্টেম বাস অথবা নর্থব্রিজ ও সাউথব্রিজের মাঝে ফ্রিকোয়েন্সীও ঠিক রাখতে হয়। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক -
কোন প্রসেসরের সিপিউ মাল্টিপ্লাই বা বহুগুণিতক গুণকের মাণ ৮। অর্থাৎ সেটা ইনপুট সিগনালকে ৮ গুণ বৃদ্ধি করে। আর সেটা ১৩৩৩ মেগাহার্টজ বাসের মেমরি কন্ট্রোলারের সাথে যুক্ত। এবং র্যাম ৮০০ মেগাহার্টজে এ কাজ করছে। সাধারণভাবে যদি ইনিশিয়াল ক্লক স্পীড ২০০ মেগাহার্টজ হয় তাহলে,
প্রসেসর = ৮ x ২০০ = ১৬০০ মেগাহার্টজ = ১.৬ গিগাহার্টজ
যদি ইনিশিয়াল ক্লক ২৩৩ মেগাহার্টজ করা হয় তাহলে প্রসেসরটি হবে ৮ x ২৩৩ = ১৮৬৪ বা ১.৮ গিগাহার্টজের। তবে ওভারক্লক করার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সিস্টেম বাস ও মেমরির ক্লকের বেশী না হয়। তাহলে র্যাম পুড়ে যেতে পারে, প্রসেসরটিরও ক্ষতি হতে পারে। আর ওভারক্লক করলে প্রসেসরের আয়ু কমতে থাকবে, কেননা এটা সাধারন অবস্থার চেয়ে বেশী কাজ করবে এবং বেশী বিদ্যুৎ খরচ করবে। প্রসেসরের পাশাপাশি র্যাম, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদিও ওভারক্লক করা যায়।
তবে অভিজ্ঞ কারো সহায়তা ছাড়া ওভারক্লক করা উচিৎ না।